ঈদের বক্স অফিসে বাজিমাত ‘তাণ্ডব’-এর, আয় ছাড়াল ৯ কোটি
এই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছে শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’। মাল্টিপ্লেক্স হোক কিংবা সিঙ্গেল স্ক্রিন—সবখানেই দাপট দেখাচ্ছে সিনেমাটি। মুক্তির দিন ২৮টি শো দিয়ে যাত্রা শুরু করা এই ছবির প্রদর্শনীর সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৪৫-এ। এছাড়া দেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘তাণ্ডব’।
প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানিয়েছেন, “প্রথম পাঁচ দিনে সিনেমাটি ৫ কোটির বেশি আয় করেছে। এর পরবর্তী পাঁচ দিনেও আরও ৪ কোটির বেশি আয় হয়েছে।” মাঝখানে দর্শক কিছুটা কমে গেলেও বর্তমানে আবার হলগুলোতে ভালো ভিড় দেখা যাচ্ছে।
অন্য সিনেমার অবস্থান কেমন?
✅ উৎসব
তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমাটি শুরুতে মাত্র ৯টি শো পেলেও দর্শকের আগ্রহের কারণে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫-তে। গত ৯ দিনে এই সিনেমার আয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরিচালক বলেন, “দর্শকদের সাড়া দেখে আমরা অভিভূত। হলসংখ্যা বাড়ছে, আয়ও বাড়ছে।”
✅ ইনসাফ
হলসংখ্যার দিক দিয়ে ঈদে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ‘ইনসাফ’। প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু মনে করছেন, তাণ্ডব-এর প্রদর্শনী শেষ হলে ‘ইনসাফ’-এর হলসংখ্যা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, “আমাদের সিনেমা ধীরে ধীরে ভালো করবে। আয় ইতোমধ্যে কোটি ছাড়িয়েছে।”
✅ নীলচক্র
শুরুতে আশাজাগানিয়া হলেও পরে শো কমে যাওয়ায় পিছিয়ে পড়ে ‘নীলচক্র’। মাল্টিপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত আয় করেছে ২৩ লাখ টাকার বেশি। পরিচালক মিঠু খান জানিয়েছেন, জুলাইয়ে দেশের বাইরেও সিনেমাটি মুক্তি পাবে।
✅ এশা মার্ডার: কর্মফল
কম শো পেয়েও আলোচনায় উঠে এসেছে এই ছবি। পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, “প্রায় সব শো-ই হাউসফুল গেছে। অল্প শো দিয়েও আমরা ভালো আয় করছি।” সূত্র জানায়, সিনেমাটির মাল্টিপ্লেক্স আয় ১৬ লাখ টাকার মতো। এছাড়াও সিনেমার স্বত্ব ভালো দামে বিক্রি হয়েছে।
✅ টগর
প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি ‘টগর’। পরিবেশক জাহিদ হাসান বলেন, “তাণ্ডব-এর তুলনায় আমাদের আয় কম। তবে আমরা এখন দেশ-বিদেশে প্রদর্শনীর দিকে নজর দিচ্ছি।” জানা গেছে, সিনেমাটি এখন পর্যন্ত আয় করেছে ১৪ লাখ টাকা।
এই ঈদে ঢালিউডের সিনেমাগুলোর সম্মিলিত আয় প্রমাণ করছে—দর্শক আবার হলে ফিরছে। একদিকে ‘তাণ্ডব’-এর মতো সুপারহিট ছবি, অন্যদিকে ‘উৎসব’, ‘এশা মার্ডার’-এর মতো কনটেন্ট-ভিত্তিক সিনেমাও জায়গা করে নিচ্ছে দর্শকের মনে।
তবে সিনেমার মোট আয় দেখে অনেকে ভুল বুঝছেন—প্রযোজকের হাতে থাকে মোট আয়ের একটি অংশ মাত্র। বিষয়টি শিল্পী ও কলাকুশলীদের বোঝা জরুরি।
