জি-৭ জোটের বিবৃতি: ইরানকে দায়, ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব নেতারা

জি-৭ নেতাদের সমর্থন পেল ইসরায়েল, ইরানকে দায়ী করে কড়া বিবৃতি

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াল জি-৭ জোটের নেতারা। এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা ইরানকে এই অস্থিরতার মূল উৎস হিসেবে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার রাতে দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয়। নেতারা আরও বলেন, ইরান বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর অন্যতম উৎস।

ইরানে ইসরায়েলের হামলা ও উত্তেজনা

গত শুক্রবার ভোরে ইরানে হামলা চালিয়ে দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আকাশ হামলা চলছে। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলার মাধ্যমে এই উত্তেজনা শুরু হয়েছিল, যা এখন গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

জি-৭ সম্মেলন আড়ালে, আগেভাগেই ফিরলেন ট্রাম্প

এই বছর কানাডায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫১তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন। তবে ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতির কারণে এবারের সম্মেলন কিছুটা আড়ালেই থেকে যায়।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্মেলন শেষ না করেই আগেভাগে ওয়াশিংটনে ফিরে যান। যদিও তিনি বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ কারণে” তাঁকে ফিরতে হয়েছে, তবে বিষয়টি যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি না—সেটি তিনি অস্বীকার করেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ অবশ্য জানান, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আছে। ফ্রান্স এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।

তবে ট্রাম্প পাল্টা মন্তব্য করে বলেন, মাখোঁ ঠিক জানেন না তিনি কেন ফিরছেন। যুদ্ধবিরতির জন্য নয়, বরং আরও বড় কোনো কারণে তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে যাচ্ছেন।

যৌথ বিবৃতি যা বলল:

  • ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে
  • ইরান মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার মূল উৎস
  • ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয়
  • সহিংসতা বন্ধে সংকট নিরসনের আহ্বান

Leave a Comment