জ্বালানি তেলের দাম এখনই বাড়ছে না, যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সরকার
– বললেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ
সরকার এখনই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়, তখন প্রভাব পড়তে পারে দেশের জ্বালানি খাতে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি এখনো স্পষ্ট নয়। তাই এখনই তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে না। যুদ্ধ যদি দীর্ঘমেয়াদে গড়ায়, তখন প্রভাব পড়বে। তবে আপাতত আমাদের পূর্বের দরেই এলএনজি কেনা সম্ভব হয়েছে, এটি ভালো খবর।”
তিনি আরও জানান, আজকের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি এলপি থেকে একটি কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কার্গোর পরিমাণ ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ। এতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৬২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম পড়ছে ১৫.১৭ মার্কিন ডলার।
এ সময় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিকল্প চিন্তা করছে। কারণ, যুদ্ধ বাড়লে শুধু তেল নয়, সার ও পণ্য পরিবহনেও প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হলে।”
বৈঠকে আরও যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে:
✅ সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যাকবলিত সড়ক ও সেতুর পুনর্গঠনের একটি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
✅ কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে খরচ হবে ১৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম ৩৮৩.২৫ মার্কিন ডলার।
✅ বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মুন্সিগঞ্জ প্রকল্পে ড্রেন, গেট, গার্ড শেডসহ অন্যান্য নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কাজটি পেয়েছে বিডিই লিমিটেড ও কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের যৌথ উদ্যোগ।
বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে না। সরকার যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। পুরোনো দামে এলএনজি কেনা সম্ভব হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয়নি। তবে যুদ্ধ দীর্ঘ হলে বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
