আবহাওয়ার কারণে গ্যাস–সংকট, এলএনজি সরবরাহ বন্ধ মহেশখালী থেকে
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহে বড় ধাক্কা লেগেছে। ফলে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস–চাপ কমে গেছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
আজ বুধবার (১৯ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত দুটি ভাসমান টার্মিনাল থেকে আমদানি করা এলএনজি জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে নিরাপত্তার জন্য সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস প্রবাহ অনেকটাই কমে গেছে।
যেসব এলাকায় গ্যাস–চাপ কম:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এবং ঢাকার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র আওতাধীন এলাকাগুলোয় গ্যাসের স্বল্প চাপ দেখা দিচ্ছে।
পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এলএনজি সরবরাহ পুনরায় শুরু হবে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বর্তমান গ্যাস সংকট কতটা?
বাংলাদেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩৮০ কোটি ঘনফুট। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পাওয়া গেলেই চাহিদা মোটামুটি পূরণ করা যায়। তবে এখন রেশনিং করে—এক খাতে কমিয়ে আরেক খাতে বাড়িয়ে—চাহিদা সামাল দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি গড়ে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছিল। কিন্তু আজ বুধবার সন্ধ্যায় তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০০ কোটি ঘনফুটে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরবরাহ আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আবহাওয়া উন্নতি হলে বিকেল থেকে আবার সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- মহেশখালীর দুটি ভাসমান টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ৯০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হয়।
- আবহাওয়ার কারণে এই সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
- রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় রান্না ও শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাপ কমে গেছে।
উপসংহার:
আবহাওয়ার উন্নতির ওপর নির্ভর করছে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে কি না। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে পেট্রোবাংলা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।