৩৮-এ পা দিলেন মেসি: জন্মদিনে জানুন ১০ চমক

ফুটবল ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র লিওনেল মেসি, যিনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে করে তুলেছেন ফুটবল বিশ্বের প্রতীক। ২৪ জুন, মঙ্গলবার, ৩৮ বছরে পা রাখলেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। জন্মদিনে মেসিকে ঘিরে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। জন্মস্থান থেকে বন্ধুত্ব, নামকরণের গল্প থেকে পারিবারিক শিকড় কিংবা মাঠের রেকর্ড—সব মিলিয়ে মেসি যেন এক অনন্য ক্রীড়া উপাখ্যান।

মেসির জন্ম আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে, যেখানে জন্মেছিলেন কিংবদন্তি বিপ্লবী চে গুয়েভারাও। দুজনের জন্ম জুন মাসে—চে গুয়েভারার ১৪ জুন আর মেসির ২৪ জুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মেসি ইতিহাস গড়েছেন। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর সতীর্থদের সঙ্গে উদ্‌যাপনের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পেয়েছে ৭ কোটির বেশি লাইক, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া পোস্ট।

মেসি আর সের্হিও আগুয়েরোর বন্ধুত্বও কিংবদন্তির মতোই। ছোটবেলার বন্ধুত্ব গড়িয়েছে ব্যবসায়িক সম্পর্কেও। এমনকি আগুয়েরোর ছেলে বেঞ্জামিনের গডফাদার মেসি। ২০২২ বিশ্বকাপে কাতারে গিয়ে মেসির রুমেই থেকেছেন আগুয়েরো, যদিও দলে ছিলেন না।

মেসির নামকরণেও রয়েছে চমক। তাঁর মা ছিলেন মার্কিন গায়ক লায়োনেল রিচির ভক্ত, সেখান থেকেই এসেছে লিওনেলের নাম। ক্লাব ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে তার সতীর্থ ছিলেন সের্হিও বুসকেতস—বার্সেলোনা ও ইন্টার মায়ামি মিলিয়ে ৬২১টি ম্যাচে একসঙ্গে খেলেছেন তাঁরা।

মেসির পূর্বপুরুষদের শিকড় ইতালির মারকে অঞ্চলে, যার ফলে তিনি সম্মানসূচক ইতালিয়ান নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে এ নাগরিকত্বে ভোটাধিকার নেই। ছোটবেলায় মেসির ফুটবল আইডল ছিলেন পাবলো আইমার। ২০০৪ সালে এক ম্যাচে আইমার নিজ হাতে তাঁর জার্সি উপহার দেন মেসিকে, যা এখনো যত্ন করে রেখে দিয়েছেন তিনি। ২০২২ বিশ্বকাপে আইমার ছিলেন আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ।

বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড বোয়ান কিরকিচ মেসির দূরসম্পর্কের আত্মীয়। তাঁদের পূর্বপুরুষরা ১৮৪৬ সালে স্পেনে বিয়ে করেন। সেখান থেকেই দুইজনের পারিবারিক যোগসূত্র। বার্সেলোনায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ক্লাবটির মোট ৯ হাজারের বেশি গোলে মেসির একার অবদান ছিল ৬৭২টি, যা পুরো ক্লাব ইতিহাসের ৭.২ শতাংশ।

চ্যাম্পিয়নস লিগে আটটি হ্যাটট্রিক করে মেসি নিজেই ছাপিয়ে গেছেন রাউল, অঁরি, রুনি, সালাহ, ইব্রা, রোনালদো, লুকাকু, মুলার, সুয়ারেজসহ অনেক বিখ্যাত তারকার সম্মিলিত হ্যাটট্রিক সংখ্যাকেও। জন্মদিনে এমন এক মহাতারকার গল্প অনুপ্রেরণার মতোই।

Leave a Comment