নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জামায়াতের আলোচনা, ফিরল দাঁড়িপাল্লা

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও সক্রিয়ভাবে ফিরে আসছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দীর্ঘ এক দশক পর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন ফিরে পেয়ে দলটি নতুন করে রাজনৈতিক ময়দানে পা রাখছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) নির্বাচন কমিশনের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে দলটির রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পুনর্বহাল করা হয়। পাশাপাশি ফেরত দেওয়া হয় বহুল পরিচিত নির্বাচন প্রতীক—দাঁড়িপাল্লা।

এই প্রজ্ঞাপনের পরদিন আজ বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে বসে জামায়াতের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে জামায়াতের অংশগ্রহণসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজে।

জামায়াতের রাজনীতিতে ফেরার পথ তৈরি হয় চলতি বছরের ১ জুন আপিল বিভাগের এক রায়ের মাধ্যমে। ওই রায়ে হাইকোর্টের ২০১৩ সালের সেই রায় বাতিল করা হয়, যেখানে দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আপিল বিভাগের এই রায়কে কেন্দ্র করেই নির্বাচন কমিশন পুনর্বিবেচনায় গিয়ে দলটির নিবন্ধন পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয়।

এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, দলটি কীভাবে তাদের কার্যক্রম সাজায় এবং রাজনৈতিক সমীকরণে কী ধরনের প্রভাব ফেলে।

Leave a Comment