২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘাটতি ১২৫ কোটি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে পরীক্ষাখাতকে। ২৭তম সিনেট অধিবেশনে উপস্থাপিত এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯০ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যার মধ্যে শুধু পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৮৯ কোটি ৩ লাখ টাকা—যা পুরো বাজেটের প্রায় ৪২ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সারা দেশে বিস্তৃত পরীক্ষাকেন্দ্র, খাতা মূল্যায়ন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিবহনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। এর ফলে অন্যান্য খাতের তুলনায় পরীক্ষাবিষয়ক ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় এই খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাজেট উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আজম। প্রস্তাবিত বাজেটে আয় দেখানো হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে অনুদানের প্রত্যাশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাজেটে বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন সুবিধাদি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ১৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এ খাতে ব্যয় বেড়েছে মূলত ৯৮৮ জন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পুনর্বহাল করায়, এতে প্রায় ৭৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, চাকরি মেয়াদের ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অবসরের কারণে পেনশন খাতে খরচ বেড়েছে প্রায় ২৯ কোটি টাকা।

অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদিত হয়। সংশোধিত বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৭ কোটি টাকা, যা প্রাথমিক বাজেটের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একইসঙ্গে আয়েও কিছুটা সংশোধন এনে তা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১২ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিনেট অধিবেশনে জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষাবিদসহ ৭৭ জন সিনেট সদস্য অংশ নেন। এছাড়া সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন এই গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশনে।

Leave a Comment