এইচএসসি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ভালো নম্বর পাওয়ার কৌশল

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ভালো ফল করা অনেকাংশেই নির্ভর করে প্রশ্নগুলোর ধরন বুঝে নিয়মিত চর্চার ওপর। ১০০ নম্বরের এই প্রশ্নপত্রে গ্রামার অংশে রয়েছে ৬০ নম্বর, আর কম্পোজিশন অংশে ৪০ নম্বর। ভালো প্রস্তুতির জন্য দুটো অংশেই সমান গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

প্রশ্নপত্রের শুরুতেই থাকে preposition ভিত্তিক gap filling, যেখানে একটি অনুচ্ছেদের ১০টি শূন্যস্থান পূরণ করতে হয় উপযুক্ত preposition বসিয়ে। শুধু ক্রমানুসারে উত্তর দিলেই চলে, পুরো অনুচ্ছেদ লেখার প্রয়োজন নেই। এরপরেই আসে clause-ভিত্তিক gap filling। এখানে নির্দিষ্ট কিছু structure যেমন—was born, had better, would rather ইত্যাদি ব্যবহার করে বাক্য সম্পূর্ণ করতে হয়। এই অংশে যত বেশি চর্চা হবে, ততটাই আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

তৃতীয় প্রশ্নে শিক্ষার্থীকে phrase বা clause ব্যবহার করে পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠন করতে হয়। noun clause, conditional clause বা infinitive phrase সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে নম্বর তুলে নেওয়া সহজ। উত্তর অংশে দাগ টেনে স্পষ্টভাবে আলাদা করাও আবশ্যক।

চতুর্থ প্রশ্নে থাকে verb-এর right form প্রয়োগ। এখানে tense, subject-verb agreement এবং voice-এর সঠিক প্রয়োগ না জানলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য নিয়মগুলো বারবার অনুশীলন করে ঝালিয়ে নেওয়া দরকার।

নির্দেশনা মেনে narrative পরিবর্তনের প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের সর্তক থাকতে হয় tense ও pronoun পরিবর্তনে। direct থেকে indirect বা indirect থেকে direct speech-এ রূপান্তরের সময় reporting verb এবং বাক্যগঠন ঠিক রাখতে না পারলে নম্বর কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

modifier ব্যবহারের অংশে প্রশ্নে দেওয়া নির্দেশনার ওপর ভিত্তি করে টেক্সটে ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে হয়। modifier ভুল হলে বাক্য অর্থহীন হয়ে যেতে পারে। তাই নির্ভুলভাবে modifier বসানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

connectors ব্যবহার করে একটি passage সম্পূর্ণ করতে হয়, যেখানে ১৪টি শূন্যস্থান থাকে। বাক্যের অর্থ বুঝে যথাযথ linking word বসাতে পারলে এখানে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। যেমন: however, although, besides ইত্যাদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে জানতে হয়।

পরবর্তী প্রশ্নে synonym এবং antonym ব্যবহার করতে হয়। আন্ডারলাইন করা শব্দের অর্থ ও বাক্যের প্রয়োজন বুঝে parts of speech অনুযায়ী প্রতিশব্দ বসাতে হয়। শব্দের ধরন অনুযায়ী উত্তর না দিতে পারলে ভুলের সম্ভাবনা বাড়ে।

punctuation এর প্রশ্নে পুরো passage-এ কোনো বিরাম চিহ্ন না থাকায় শিক্ষার্থীদের capital letter, comma, full stop ইত্যাদি বসিয়ে passage ঠিক করতে হয়। এই অংশে সতর্ক না হলে ছোটখাটো ভুলেই নম্বর হারিয়ে যেতে পারে।

কম্পোজিশনের অংশে প্রথমেই formal letter বা email লিখতে হয়। শিক্ষার্থীদের উচিত সমস্যাভিত্তিক কিংবা তথ্যভিত্তিক বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা। চিঠির কাঠামো, ভাষার ভদ্রতা এবং বানানের শুদ্ধতা এখানে বড় ভূমিকা রাখে।

শেষ দুটি প্রশ্নে থাকে paragraph writing। একটি প্যারাগ্রাফ সাধারণ ধারায় লেখা হয়, অন্যটি লেখা হয় তুলনা-ভিত্তিক (comparison & contrast) বা কারণ-পরিণতির (cause & effect) ভিত্তিতে। শব্দসংখ্যা ২০০ এর মধ্যে রাখতে হয় এবং বিষয়বস্তুর স্বচ্ছতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বানান ও grammatical ভুল যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

পরীক্ষায় ভালো ফল পেতে হলে শুধুমাত্র নিয়ম জানলেই হবে না, নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে প্রতিটি প্রশ্নের ফরম্যাটে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সময় বণ্টন, প্রশ্ন বুঝে উত্তর দেওয়া এবং উত্তরপত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপরই নির্ভর করবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। নিয়মিত প্র্যাকটিস আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল সম্ভব।

Leave a Comment

অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২৫ সিরিজ আল হিলালের ঐতিহাসিক জয় ম্যান সিটির বিপক্ষে ৪-৩ গোলে