ইরান কেন কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার আগে সতর্ক করেছিল

কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার আগে ইরান যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এমনকি এই অপ্রত্যাশিত সতর্কতার জন্য তেহরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে প্রশ্ন উঠেছে, কেনই বা ইরান এমন পদক্ষেপ নিল?

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই আচরণের পেছনে ছিল কৌশলগত পরিকল্পনা। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক স্টেফান ফ্রুহলিং বিবিসিকে বলেন, ইরানের এই হামলা ছিল মূলত প্রতীকী এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি বড় ধরনের সংঘাতে না জড়ানোর একটি ইঙ্গিত। ইরান চেয়েছে, হামলার আগে জানিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার যেন বেসামরিক বিমান এবং লোকজন নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারে।

ফ্রুহলিং আরও বলেন, ইরানের এই সতর্কবার্তা আসলে একটি রাজনৈতিক বার্তাও। এতে বোঝানো হয়েছে, তেহরান চায় শুধু ইসরায়েলের সঙ্গেই সীমিত পরিসরে সংঘাতে জড়াতে, যুক্তরাষ্ট্রকে নয়। কারণ, বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হলে সামরিকভাবে পিছিয়ে পড়তে পারে ইরান।

এর আগে, ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পরও একই ধরনের ‘প্রতিক্রিয়ামূলক কিন্তু নিয়ন্ত্রিত’ হামলা চালিয়েছিল ইরান। তখনও লক্ষ্য ছিল এমন বার্তা দেওয়া—ইরান পাল্টা আঘাত করবে, কিন্তু তা পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু করার জন্য নয়।

সর্বশেষ পরিস্থিতিতে ইরানের এমন কৌশল বেশ স্পষ্ট—তারা চায় না সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে, বরং নিজেদের শক্তির প্রদর্শন এবং প্রতিপক্ষের প্রতি সতর্ক বার্তা দিতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।

সূত্র: BBC

Leave a Comment