বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ২৪ জুন, মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সাক্ষাতে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচনপূর্ব পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক আগ্রহের প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ের ওপর গঠনমূলক আলোচনা হয়। উভয়পক্ষ আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেন। এই বৈঠককে কূটনৈতিক সৌজন্যের বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
বৈঠকে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অংশ নেন দলের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান। নেতৃবৃন্দের এমন সক্রিয় উপস্থিতি বৈঠকটির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের এমন বৈঠক শুধু প্রতীকী সৌজন্য নয়—বরং তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর প্রতি কতটা গভীর, সেটিরই এক উদাহরণ।
বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে, এই বৈঠককে অনেকে সেই ধারাবাহিকতারই অংশ হিসেবে দেখছেন। ফলে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রশ্ন উঠেছে—এই সাক্ষাৎ কি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নতুন কোনো বার্তা দিচ্ছে?
সব মিলিয়ে ডা. শফিকুর রহমান ও মাইকেল মিলারের এই বৈঠককে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রার আলোচনা শুরু হয়েছে, যা নিকট ভবিষ্যতের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
