জোহরান মমদানি: নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র প্রার্থী

নিউইয়র্ক শহরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মুসলিম ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ জোহরান মমদানি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মমদানির এই প্রার্থীতা আন্তর্জাতিকভাবে বহুসাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল নেতৃত্বের নতুন দিগন্ত খুলে দেওয়ার প্রতীক হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

নিউইয়র্ক সিটির র‍্যাঙ্কড চয়েস ভোটিং পদ্ধতির প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, মমদানি ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তার প্রগতিশীল নির্বাচনী পরিকল্পনায় ধনী ও বড় কর্পোরেশনগুলোর ওপর কর বৃদ্ধির পাশাপাশি সাশ্রয়ী আবাসন, ফ্রি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং উচ্চতর ন্যূনতম মজুরির প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা বিশেষ করে তরুণ ও শ্রমজীবী ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।

সাবেক নিউইয়র্ক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো তার পরাজয় স্বীকার করে ফোনে মমদানিকে অভিনন্দন জানান, যা নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব আসার ইঙ্গিত বহন করে। কুওমোর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিতর্কের প্রেক্ষাপটে, মমদানির স্থির ও পরিপক্ক নেতৃত্ব ভোটারদের আস্থা অর্জনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

ভোটের রাতে ব্রুকলিনের রাস্তায় উদযাপনের দৃশ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজর কেড়েছে। হাজার হাজার তরুণ উৎসবমুখর পরিবেশে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এক তরুণী বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি নির্বাচন নয়, এটি একটি যুগান্তকারী আন্দোলন।”

জোহরান মমদানির বক্তব্য, “যা অসম্ভব মনে হয়, তা সম্ভব হয় যখন সবাই একসাথে কাজ করে।” তার এই মনোনয়ন মার্কিন রাজনীতিতে বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্বের অগ্রগতির প্রতীক। নিউইয়র্কে তরুণ ও প্রগতিশীল নেতৃত্বের এই উত্থান সামাজিক ন্যায় এবং সাম্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের রাজনীতির দিক পরিবর্তনের সূচনা করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিধি প্রসারিত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারা গড়ে উঠছে, যেখানে বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি এবং প্রগতিশীল চিন্তাধারাকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গঠিত হবে।

Leave a Comment