সরকার অনুমোদন দিল ২৫ হাজার টন অকটেন আমদানির

সরকার চলতি জুন মাসে ২৫ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে, যা দেশের জ্বালানি বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন (বিএসপি) থেকে এই অকটেন আমদানি করা হবে, যার মোট খরচ ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম মূল্য ৫.৯৩ মার্কিন ডলার এবং রেফারেন্স মূল্য ৭৩.৬১০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হরমুজ প্রণালীর রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকার পরও আমদানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। এছাড়া, চলমান যুদ্ধে জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয়ও হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে যে দাম ছিল, বর্তমানে তা কমেছে। পুনরায় দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি ব্যারেলের দাম ৫ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত কমিয়ে আনায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে, যা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সুবিধা হিসেবে বিবেচিত।

অন্যদিকে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আরেকটি প্রস্তাবে জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ ক্রয় প্রস্তাবের মোট বাজেট দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০,০০৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এই আমদানির জন্য থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, আরব আমিরাতের ইএনওসি, চীনের প্রেট্রোচীনা ও ইউনিপেক, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল এবং ভারতের আইওসিএলসহ সাতটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সুপারিশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মোট সাতটি প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়, যেগুলো কৃষি, জ্বালানি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। সব প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদন পেয়ে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও আমদানি খরচ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এবারের অনুমোদিত আমদানির মাধ্যমে দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটানোতে সহায়তা মিলবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য ওঠানামার প্রভাব থেকে স্থানীয় বাজারকে রক্ষা করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় নিশ্চিত করায় সরকারের অর্থনীতি পরিচালনায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

Leave a Comment